অগ্রদৃষ্টি ডেস্ক:: দুদিন দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা ত্যাগের আগে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজীব।
এসময় তার সঙ্গে বাংলাদেশে ভারতের হাই কমিশনার পঙ্কজ শরণ ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।
স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক সফল হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন রাজীব মেহর্ষি।
বৈঠক সফল হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন বলেও জানান তার প্রেস সচিব।
বৈঠক শেষে কার্যবিবরণী স্বাক্ষরিত হওয়ার বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীকে জানান রাজীব।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর পরিদর্শনের কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু ভবনকে ইতিহাসের সাক্ষী বলে অভিহিত করেন ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিব।
পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সরকারিভাবে এই সড়কের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “ওই সড়কের নম্বর পরিবর্তন করে ১১ করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের সকলেই ৩২ নম্বর বলতেই ওই সড়ককে বোঝে।”
ভারতের পানি সম্পদ মন্ত্রী উমা ভারতী এবং বাংলাদেশের পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল হক মাহমুদের মধ্যে বৈঠক ‘সফল’ হয়েছে বলে এসময় প্রধানমন্ত্রীকে জানান পঙ্কজ শরন।
এছাড়া দিল্লিতে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কোস্টাল শিপিংয়ের জন্য এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিভ প্রসিডিউর) স্বাক্ষর হওয়ার বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীকে জানান ভারতীয় হাই কমিশনার।
এছাড়া যুক্তরাজ্য সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে লেবার পার্টির সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী টিউলিপ সিদ্দিকীর বৈঠকের বিষয়টিও শেখ হাসিনাকে জানান পঙ্কজ।
বৈঠকে দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো জোরদার করার কথা বলেছেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে যানবাহন চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
স্থলবন্দর বাংলাবন্ধে যানবাহনের জট কমাতে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রীকে বলেন রাজীব মেহর্ষি।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী, মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও স্বরাষ্ট্র সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান উপস্থিত ছিলেন।